আজ সোমবার, ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধু ফেরায় স্বীকৃতি মিলেছে

নবকুমার:

আজ ১০ জানুয়ারি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হত না। বহিঃবিশ্ব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিত না। সংবিধান রচনা হতো না। দেশে গৃহযুদ্ধ লাগত যা বঙ্গবন্ধু সমাধান করেছেন। দ্রুত মিলেছে স্বীকৃতি । বঙ্গবন্ধু দেশে আসার পর বাংলাদেশ, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করেছে। বিশ্বের সকল রাষ্ট্র স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর দক্ষ নেতৃত্বের গুনে সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু না এলে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে আসলে কাদেরীয়া বাহিনী সহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর পায়ের নিচে অস্ত্র নামিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় মিত্রবাহিনী স্বল্পসময়ে তাদের দেশে ফিরে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এসব কথা জানান স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ- ১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই পূর্ণতা পায় আমাদের রক্তার্জিত স্বাধীনতা।

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। সেই প্রচন্ড উচ্ছ্বাসের মধ্যেও বাঙালির মনের গভীরে একটি কালো দাগ ছিলো- বঙ্গবন্ধু কখন আসবেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন । তিনি ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর। ২৪ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তারপর তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, যতদিন বাঙালি জাতি আছে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার হৃদয়ে বেচে থাকবেন। তিনি বাঙালিদের চেতনার প্রতীক। তার মৃত্যু নেই। তিনি মহামানব।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে ৭.৪ শতাংশের রেকর্ড বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন, চল্লিশ বছর পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তা অতিক্রম করতে পেরেছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।